শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন
মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার:
দুর্নীতি ও ভূয়া বিল-ভাউচার দিয়ে টাকা আত্মসাৎ, সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ গাইড বই ও নোট শিক্ষার্থীদের ক্রয় করতে বাধ্য করা, সহকারি শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণ ও শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে টাকা আত্মসাৎসহ সুনির্দিষ্ট ১৫টি অভিযোগ উল্লেখ করে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাফফর মিয়া তালুকদার। ২০২১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি স্বাক্ষরিত এ অভিযোগের অনুলিপি দেয়া হয়েছে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনের সংসদ সদস্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকার মহাপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেটের চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও উন্নয়ন), জেলা শিক্ষা অফিসার, দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত নানা দুর্নীতি, সহকর্মীদের সাথে খারাপ আচরণ, ভূয়া বিল-ভাউচার বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেই যাচ্ছেন। তার এসব অপকর্মের প্রতিবেদন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে। তারপরও থামছে না বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির মহোৎসব। বার বার তদন্ত করা হলে বিষয়গুলোর সত্যতা পাওয়ার তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়া হয়। এরপরও তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেয়ায় প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে তার ঠিকে থাকার মূল শক্তির উৎস কোথায়?
২০২১ সালের ২রা ফেব্রুয়ারিতে দুর্নীতি দমন কমিশনে পাঠানো অভিযোগের সত্যতা জানতে কমিশন এবার নড়ে-চড়ে বসেছে। এ বছরের ৯ ডিসেম্বর দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেলের পরিচালক উত্তম কুমার মণ্ডল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ২০ কার্যদিবসের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসককে এ ব্যাপারে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যার স্মারক নং-০০.০১.০০০০.৫০৩.২৬.২০৭.২১-৩৫০৫০। এরপর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। পরে দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদুর রহমান মামুন স্বাক্ষরিত গত বছরের ১২ মে লিখিত অভিযোগের সত্যতা তদন্তের জন্য উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমিকে দায়িত্ব দেন। যার স্মারক নং-০৫.৪৬.৯০২৯.০০০.০৯.০০৯.১৯-৩০১। দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার পর সহকারি কমিশনার (ভূমি) অরুণ রতন সিংহ স্বাক্ষরিত ২০২২ সালের ২রা ফেব্রুয়ারি প্রসেস নং-১০-এ বাদী ও বিবাদীকে নোটিশ করেন। এরপর তিনি দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সরেজমিন তদন্ত করে তার প্রতিবেদন দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একই বছরের ১০ মে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যার স্মারক নং-৩১.৪৬.৯০২৯.০০০.০১.০০২.২১.২৮৮। সর্বশেষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চলতি বছরের ১৩ মার্চ দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। যার স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৬১০.২০২২/৬০৮।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বই শিক্ষার্থীদেরকে ক্রয় করতে বাধ্য করার শর্তে দিরাইয়ের দুটি লাইব্রেরি থেকে ৯০ হাজার টাকা দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস ও সহকারি শিক্ষক মৃণাল কান্তি আচার্য্য উৎকোচ গ্রহণ করেন। বিষয়টি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত বলে মন্তব্য করেন দিরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ার্যমান প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুছ। তিনি এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে পত্র প্রেরণ করেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক ২০১১ সালে ৩ আগস্ট সহকারি শিক্ষকের পদ থেকে পদত্যাগ করে ৪ আগস্ট থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। কিন্তু সরকারি বিধি ভেঙ্গে তিনি প্রথম দিন থেকেই তার পুরাতন প্রভিডেন্ড ফান্ড ৪৮৮৫ নাম্বার একাউন্টে ২৭ হাজার ৩০৫ টাকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিনা অনুমতিতে নিজ একাউন্টে জমা করেন। তাছাড়া তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পরও সহকারি শিক্ষক হিসেবে ৫ মাসের বেতন ৫৩ হাজার ৫৭৫ টাকা উত্তোলন করেন।
এদিকে বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৭ হাজার ৫শত টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি গত ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই পরিচালনা কমিটির এক বৈঠকে প্রধান শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ২০১৬ সালের ১০ মে পরিচালনা কমিটির এক সভায় ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে একটি অকার্যকর রেজুলেশন করেন। সেখাতে তিনি আয়-ব্যয়ের দায়িত্ব পালন করবেন বলে মাসিক ৫শত টাকা সম্মানী হিসেবে ২৪ মাসের ১২ হাজার ও ঈদ বোনাস বাবদ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৫ মে পর্যন্ত দিরাই বাজারের পপুলাল লাইব্রেরি থেকে বিদ্যালয়ের জন্য বিভিন্ন জিনিস কেনা বাবদ ১২ হাজার ১৪ টাকা খরচ দেখানো হয়। কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে ৫ হাজার ৫১৮ টাকা আত্মসাৎ করেন। ২০১৮ সালের এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র ও ব্যবহারিক ফি বাবদ বোর্ড কর্তৃক আদেশকে অমান্য করে বিদ্যালয়ের তহবিল হতে ৫ হাজার ৯১০ টাকার বেশি উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
অন্যদিকে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড এক্সেস ইনহ্যান্সমেন্ট প্রকল্প কর্তৃক ২০১৭ সালে উন্নতমানের স্যানিটেশন ব্যবস্থার আওতায় সেকায়েপ তিন কিস্তিতে ৩ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয়া হয়। একই বছরের ১৭ মে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির ৯ সদস্যের একটি বৈঠকে কাজ সন্তোষজনক হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। কিন্তু এ কাজে দুর্নীতি হয়েছে বলে পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ হলে নড়ে-চড়ে বসে সেকায়েপ কর্তৃপক্ষ। তারা ১৯ জুলাই সরেজমিন তদন্ত করে পাহাড় পরিমাণ ত্রুটি-বিচ্যুতি পায়। তাছাড়া ২০১৭ সালে ২০ জুলাই বিদ্যালয়ের ব্যাংক একাউন্ট অগ্রণী ব্যাংক দিরাই শাখা থেকে ৬০ হাজার টাকা উত্তোলন করলেও কোন খাতে ব্যয় করা হয়েছে, তার কোন বিবরণী নেই এবং ব্যয়ের ভাউচারও নেই। এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠিত হলে কমিটি তদন্তে দেখতে পায় যে, বিদ্যালয়ের ব্যাংক তহবিল থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার ৪৬১ টাকা উত্তোলন করে ইচ্ছাকৃতভাবে আত্মসাৎ করেন প্রধান শিক্ষক।
দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বারান্দা মেরামতে কাঠ ক্রয় বাবদ ১১ হাজার, মেস্তরী মজুরী ৩ হাজার টাকা, অফিস কক্ষের দক্ষিণের দেয়াল নির্মাণ বাবদ ১৭ হাজার ২শত টাকা, ২০১৭ সালের ১ জুলাই অফিসের কলাপসিবল গেইট নির্মাণে ৪ হাজার ৫শত টাকা কাজ না করেই বিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আত্মসাৎ করেছেন। জানা যায়, কলাপসিবল গেইটটি ২০১৩ সালের আগেই বানানো হয়েছিল। প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস ২০১৭ সালের মার্চে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষার সচিবের দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও কেন্দ্রের মালামাল তহবিল খরচ দেখিয়েছেন ৪ হাজার ৭৩১ টাকা। একই পরিমাণ টাকা তিনি বিদ্যালয়ের তহবিল থেকেও উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন মর্মে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে।
দিরাই উপজেলার প্রাচীনতন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস ২০১৭ সালে বিদ্যালয়ের অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার জন্য ২৬ জুলাই ভাউচারে ১০৪ রিম কাগজের মূল্য ৩৩ হাজার ২৮০ টাকা দেখিয়েছেন। আবার ১৯ সেপ্টেম্বর ভাউচারে ৮ হাজার ৬শত টাকা বিদ্যালয় তহবিলে ভাউচার দেখিয়ে উত্তোলন করেন। তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত ২২ রিম কাগজের মূল্য অতিরিক্ত দেখিয়ে ৭ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন। এছাড়া ২৬ ডিসেম্বর পপুলার লাইব্রেরির ফটোকপি ও স্টেশনারী বাবদ একটি ভাউচারে ৬ হাজার ৯১১ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানতে পেরেছে তদন্ত কমিটি।
এদিকে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসের অনৈতিক কার্যকলাপ, ঘুষ গ্রহণ, টাকা আত্মসাৎ, সহকারি শিক্ষকদের সাথে অশোভন আচরণসহ নানা বিষয়ে তদন্তের জন্য কমিটি গঠিত হলেও এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, তাহলে এত অপরাধ করেও তিনি কোন শক্তির বলে স্বপদে বহাল রয়েছেন?
অপরদিকে তার বিরুদ্ধে দেয়া বিভিন্ন অফিসে অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বশেষ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চলতি বছরের ১৩ মার্চ দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। যার স্মারক নং-৩৭.০২.০০০০.১০৭.৩১.৬১০.২০২২/৬০৮। কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ‘সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলাধীন দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসের বিরুদ্ধে সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ গাইড বই ও নোট শিক্ষার্থীদের ক্রয় করতে বাধ্য করা, সহকারি শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় স্বীকৃতপ্রাপ্ত মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষকগণের চাকুরির শর্ত বিধিমালা-১৯৭৯ এর ধারা ১১(ই) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ম্যানেজিং কমিটি বরাবর সুপারিশ এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১ এর ১৮(১)(খ) মোতাবেক কেন প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাসের বেতন-ভাতা স্থগিত/বাতিল করা হবে না-তার উপযুক্ত জবাব পত্র প্রাপ্তির ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রেরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল’। এই নোটিশের অনুলিপি প্রেরণ করা হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক সেলের পরিচালক, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা সিলেট অঞ্চলের উপ-পরিচালক, জেলা শিক্ষা অফিসার, দিরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি বরাবরে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সব্যসাচী দাস বলেন, আমার ব্যাপারে করা সকল অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি নোটিশ পাওয়ার পর ৭ কার্যদিবসের মধ্যেই তার জবাব দিয়েছি। এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক জানান, অভিযোগকারী আমার প্রতি বিদ্ধেষপ্রসূত এসব অভিযোগ করেছেন। এর আগেও তিনি আমার নামে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এম মতিউর রহমান জানান, কারণ দর্শানোর নোটিশে যে স্মারক উল্লেখ করা হয়েছে, তার কোন কপি আমার হাতে আসেনি। সুতরাং, সেগুলো না দেখে আমি কিসের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো? যদি জেলা প্রশাসক কিংবা দুর্নীতি দমন কমিশনের সেই স্মারকের কপি আসে, তখন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
দিরাই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুসহাক আলি বলেন, দিরাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দুর্নীতি দমন কমিশনে যে অভিযোগ করেছেন, অনুলিপিতে উল্লেখ থাকলেও আমার কাছে কোন কাগজ আসেনি। তাই আমি এ ব্যাপারে কোন কিছুই অবগত নই।